গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন
নিজস্ব প্রতিবেদক
আপলোড সময় :
০২-০৯-২০২৩ ০২:১৫:৫৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
০২-০৯-২০২৩ ০৩:০৮:০০ পূর্বাহ্ন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আরও গতিশীল হবে। একই সঙ্গে জাতির পিতার স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত-আধুনিক সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
_______________________________________________
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ গোদাগাড়ী পৌর শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
(১ সেপ্টেম্বর ২০২৩) সন্ধ্যায় গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি, ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয় বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, গোদাগাড়ী পৌর শাখার পূর্ণাঙ্গ কার্য নির্বাহী কমিটির অনুমোদন প্রসঙ্গে______
সংগ্রামীী সাথী , সালাম ও মজিবীয় শুভেচ্ছা নিবেন। গত 20/01/2020 ইং তারিখে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, গোদাগাড়ী পৌর শাখা এর ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল সফল করার জন্য আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ। উক্ত কাউন্সিলে সিদ্ধান্তের আলোকে আপনাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করে সংশ্লিষ্ট ৫১ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, গোদাগাড়ী পৌর শাখার কার্যকরি কমিটিকে ১৮/০৭/২০২৩ ইং তারিখ হইতে আগামী ০৩ (তিন) বছরের জন্য অনুমোদন দেওয়া হলো। আপনাদের নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শের পথ ধরে ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা বাস্তবায়নে ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার রুপকল্প-২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, গোদাগাড়ী পৌর শাখা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। আপনাদের সকলের মঙ্গল কামনা করছি।
অনুমোদিত কমিটিতে পূর্ব ঘোষিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে,
মোঃ সানাউল্লাহ সানা (সভাপতি) মোঃ হামিদ বাবু (সহ-সভাপতি) মোঃ মেহেদী হাসান শাস্ত (সহ-সভাপতি) মোঃ মোসাব্বীর হোসেন জনি (সহ-সভাপতি) মোঃ সোহানুর ইসলাম হৃদয় (সহ-সভাপতি) মোঃ ফারুক হোসেন ( সহ সভাপতি) মোঃ মাহমুদুল হাসান হৃদয় (সহ-সভাপতি ) মোঃ মেজবাহুল হক (সহ-সভাপতি )
মোঃ শাকিল খান (সাধারন সম্পাদক )
মোঃ মুরাদ হায়দার সুমন (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক)
মোঃ ইমরুল কায়েস (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক)
মোঃ হানিফ আলী (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক)
মোঃ আসিফ ইকবাল (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক)
মোঃ জসিম উদ্দীন আলাল ( যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক)
আকতারুল জামান সাদ্দাম (সাংগঠনিক সম্পাদক)
মোঃ রুমন হায়দার (সাংগঠনিক সম্পাদক)
মোঃ ফাহারুল ইসলাম সোহাগ(সাংগঠনিক সম্পাদক) মোঃ কাউসার আলী (কোষাধ্যক্ষ)
মোঃ আরিফ হোসেন (প্রচার সম্পাদক)
মোঃ রবিউল আওয়াল ( ক্রীড়া সম্পাদক)
মোঃ সাইফ জুবায়ের (সাংস্কৃতিক সম্পাদক)
মোঃ জাকারিয়া হোসেন ( ধর্ম সম্পাদক )
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাসের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর ইতিহাস অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত
পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতির মুক্তি এবং ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকার রোজ গার্ডেনে ১৯৪৯ সালের ২৩-২৪ জুন এক সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের জন্ম ইতিহাসের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর ইতিহাস অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। টিকাটুলি কেএম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাকালে প্রয়াত জননেতা জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠিত হয়। এরপর আওয়ামী লীগের সব সভা-সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী শৃঙ্খলা রক্ষা ও সাংগঠনিক সেবায় ধারাবাহিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে ৬ দফা আন্দোলন ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিরুদ্ধে উত্তাল রাজপথে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের আগুনঝরা দিনগুলোতে যুদ্ধের রসদ সরবরাহের দুঃসাহসী ভূমিকা পালন করেছে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী।
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামেও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর নানা অবদান আছে। সেই প্রেক্ষাপটে ১৯৯৪ সালের ২৭ জুলাই ঐতিহ্যবাহী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীকে পুণর্গঠিত করার উদ্দেশ্যে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যাত্রা শুরু হয়। ‘পরবর্তীতে ২০০৩ সালে পূর্ণাঙ্গ সাংগঠনিক কাঠামো করার পর সেবা-শান্তি-প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠনটি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় দেশ ও জাতির সব দুর্যোগ-দুর্বিপাকে নিঃস্বার্থ স্বেচ্ছাসেবার মাধ্যমে মানবিকতার অনন্য নজির স্থাপন করেছে। বিশেষত করোনা মহামারিতে গোটা বিশ্ব যখন বিপন্ন হয়ে পড়েছে, সেই চরম দুঃসময়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সচেতনতা সৃষ্টি, ত্রাণ বিতরণ, চিকিৎসা সহায়তা থেকে টিকা কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও মরদেহ দাফনসহ সব প্রকার মানবিক উদ্যোগ গ্রহণে যেভাবে দিন-রাত নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছে তা অত্যন্ত প্রশংনীয়।
এই বৈশ্বিক সংকটকালে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ সাহসী ও সক্ষমতার অনবদ্য স্মারক। মেট্রোরেল ও কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল চালু করা । কেউ যাতে ভূমিহীন-গৃহহীন না থাকে সেজন্য গৃহহীনদের বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া। জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ । ২০৩০ সালের মধ্যে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট’ অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আরও গতিশীল হবে। একই সঙ্গে জাতির পিতার স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত-আধুনিক সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Daily Sonali Rajshahi
কমেন্ট বক্স